সিলেট ২৬শে জানুয়ারি, ২০২১ ইং | ১২ই মাঘ, ১৪২৭ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ২:৩৮ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ২৪, ২০২০
সু.ডাক ডেস্ক:
কোভিডের কোনো টিকা ঠিকমতো কাজ করবে কিনা গ্যারান্টি দিতে পারছেন না বলে জানিয়েছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, ডব্লিউএইচও প্রধান টেড্রোস আধানম ঘেব্রেইসাস।বিশ্বে কোভিড ভ্যাকসিনের সমবন্টনের দায়িত্বে ডব্লিউএইচও থাকলেও বুধবার জেনেভায় এক ভার্চুয়াল কনফারেন্সে এর প্রধান টেড্রোস অকপটে স্বীকার করেন, কয়েকশো ভ্যাকসিন তৈরি হলেও এর কোনোটি যে কোভিড রুখতে ঠিকমতো কাজ করবে, তেমন নিশ্চয়তা দেওয়া যাচ্ছে না। এর আগে ডব্লিউএইচও প্রধান বলেছিলেন, ভ্যাকসিন এলেই কোভিড মরবে এমন নিশ্চয়তা নেই। কারণ, এই ভাইরাসকে পুরোপুরি নির্মূল করা সম্ভব নয়। এবার তিনি বলছেন নতুন ভ্যাকসিন যখন আসে তখন তার কিছু সত্যিই কার্যকরী হয়, আবার কিছু একেবারেই ব্যর্থ হয়। তাই ভ্যাকসিন যতক্ষণ না মানুষের শরীরে তার কার্যকারিতা দেখাচ্ছে ততক্ষণ নিশ্চিত তথ্য দেওয়া সম্ভব নয়। টেড্রস বলেন, কোভিড প্রতিরোধে বিশ্বে ২০০ রকমের ভ্যাকসিন ক্যানডিডেট তৈরি হয়েছে। তার কয়েকটি হিউম্যান ট্রায়াল চলছে। বাকিগুলো প্রি-ক্লিনিকাল স্টেজে রয়েছে। যত বেশি রকমের ভ্যাকসিন ক্যানডিডেট টেস্ট হবে ততই বেশি কার্যকরী ও নিরাপদ ভ্যাকসিন তৈরির রাস্তা খুলে যাবে। ইতিহাসই সাক্ষী যে একবারে ভ্যাকসিন গবেষণায় পুরোপুরি সাফল্য আসেনি। নানা উত্থান-পতনের মধ্যে দিয়েই লক্ষ্যে পৌঁছনো গিয়েছে।ভ্যাকসিন দৌড়ে এগিয়ে রয়েছে ব্রিটেনের অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রজেনেকা, যুক্তরাষ্ট্রের মোডার্না, ফাইজার, জনসন অ্যান্ড জনসন, চীনের সিনোভ্যাক, ক্যানসিনো বায়োফার্ম ও সিনোফার্ম, ভারতের সেরাম, ভারত বায়োটেক, রাশিয়ার স্পুটনিক ভি ভ্যাকসিন। এছাড়া ইসরায়েল, অস্ট্রেলিয়া, সৌদি আরবেও ভ্যাকসিন তৈরি হচ্ছে। ব্রিটেন, যুক্তরাষ্ট্র, চীন, রাশিয়া ও ভারত তাদের ভ্যাকসিন ট্রায়ালের তৃতীয় স্তরে রয়েছে। চীনের কোম্পানিগুলো জরুরি ভিত্তিতে টিকা নিয়ে আসার অনুমতিও পেয়েছে। রাশিয়া তাদের স্পুটনিক টিকার প্রথম ইউনিট নিয়ে এসেছে। রাশিয়ার দ্বিতীয় টিকারও বৃহত্তর ট্রায়াল চলছে।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ শেরগুল আহমেদ
সম্পাদকীয় ও বানিজ্যিক কার্যালয়ঃ দিশারি ২৯ আ/এ (২য় তলা) কালীবাড়ি রোড, সুনামগঞ্জ।
ফোনঃ ০৮৭১-৬২১২৩ মোবাইলঃ 01754887923
ইমেইলঃ sunamganjerdak@gmail.com
ওয়েবসাইটঃ www.sunamganjerdak.com