সিলেট ২৮শে মে, ২০২২ ইং | ১৪ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪২৯ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ২:৪৫ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ৪, ২০২০
মিজানুর রহমান, বিশ্বম্ভরপুর :
কয়েকদিনের টানা ভারী বর্ষণের ফলে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে ৪র্থ বারের বন্যায় আক্রান্ত হয় বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা। ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে বিশ্বম্ভরপুরের সবজি চাষীদের। এ যেন, ‘মরার উপর খাড়ার ঘা’ । উপজেলার ৫টি ইউনিয়নে ৩টি ইউনিয়নই হাওরবেষ্টিত এবং পাহাড়ি ঢল, অল্পবৃষ্টিতেই নি¤œাঞ্চল তলিয়ে যায়। ফতেপুর,পলাশ ও বাদাঘাট(দঃ) ইউনিয়নের অর্ধশতাধিক গ্রামের কৃষকই ৪ বারের বন্যার মধ্যে ৩ বার একই ফসল রোপণ করে ক্ষতিগ্রস্ত হলেও আশা ছাড়েননি। অবশেষে সব কোল হারিয়ে ভিটে-বাড়ী বন্ধক রেখে, নতুন চাষের উদ্যোগ নিয়ে জমিতে ৪র্থ বারের মতো সব্জির চারা রোপণ করেছিলেন উপজেলার পলাশ ইউনিয়নের মাঝাইর গ্রামের শাহ আলম।
তিনি জানান, ২ বিঘা জমির শসা ক্ষেত ফুল আসা মাত্রই চতুর্থবারের বন্যায় পানিতে বিলীন হয়ে যায়। আমার আরোও ৪ বিঘা জমিতে টমেটোর বীজ রোপণ করেছিলাম, সেগুলো বন্যার পানিতে পঁচে গেছে। ধনপুর ইউনিয়নের পুটিয়া গ্রামের মৌসুমী চাষী আহমদ আলী জানান, আমার ৩ বিঘা জমির শসার চারা ১ থেকে ১.৫ ফুট লম্বা হয়েছিল। ফুলও এসেছিল, কিন্তু দুর্ভাগ্য পরপর বন্যায় বার বার আমার বীজতলা তলিয়ে গিয়ে ফসল নষ্ট হয়েছে।
সরেজমিন দেখা যায়, উপজেলার বেশিরভাগ উচু অঞ্চলে মৌসুমী সব্জি চাষীরা ৩য় বারের বন্যার পর বীজ তলা তৈরী এবং কোন কোন জমিতে কৃষকরা চারা রোপণ করেছিলেন। আবার কোথাও দেখা যায়, আগাম ফসলের জন্য বাড়ীর আঙ্গিনায় পলিথিন ব্যাগের মধ্যে বীজ রোপণ করে চারার জন্য সংরক্ষণে রেখেছেন। জমির পানি কমে গেলে ঐ চারা জমিতে রোপণ করবেন।
বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা কৃষি অফিসার দীপক রঞ্জন দাশ জানান, ৪র্থ বারের বন্যায় উপজেলার প্রায় ৩/৪শত হেক্টর জমির ফসল নষ্ট হয়েছে। মধ্যাঞ্চলের কিছু কিছু জমির আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কিন্তু নি¤œাঞ্চল শতভাগ প্লাবিত হয়েছে। উচু অঞ্চলের সবজি চাষীদের তেমন ক্ষতি না হলেও অতি বৃষ্টিতে আংশিক ক্ষতি হয়েছে। সেজন্যে ক্ষতিগ্রস্ত সবজি চাষীদের জন্য প্রণোদনার তালিকা অপেক্ষমাণ রয়েছে।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ শেরগুল আহমেদ
সম্পাদকীয় ও বানিজ্যিক কার্যালয়ঃ দিশারি ২৯ আ/এ (২য় তলা) কালীবাড়ি রোড, সুনামগঞ্জ।
ফোনঃ ০৮৭১-৬২১২৩ মোবাইলঃ 01754887923
ইমেইলঃ sunamganjerdak@gmail.com
ওয়েবসাইটঃ www.sunamganjerdak.com