সিলেট ২৮শে মে, ২০২২ ইং | ১৪ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪২৯ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৩:৫৭ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ২৮, ২০২০
সু.ডাক ডেস্ক:
হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনে এবারই প্রথম ব্যবহার হলো ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম)। আধুনিক এ পদ্ধতি নিয়ে ভোটারদের মধ্যে ব্যাপক আগ্রহ তৈরি হয়। কিন্তু ভারী কাজের কারণে একাধিক ব্যক্তির আঙুলের ছাপ উঠে যাওয়ায় মিসিং করে ভোট মেশিন। যে কারণে দেরি হয় ভোটগ্রহণে।
ইভিএমে একজন ভোটার চারবার আঙুলের ছাপ দিতে পারেন। এ সময়ে প্রকৃত ভোটার শনাক্ত না হলে সহকারী প্রিজাইডিং কর্মকর্তা জাতীয় পরিচয়পত্র মিলিয়ে যাচাই করেন। তাই একটু বেশি সময় লাগে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
গতকাল সোমবার সকাল ১০টায় শায়েস্তাগঞ্জ পৌরসভার উবাহাটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট দিতে এসেছিলেন ৫৮ বছর বয়সী রহিমা বেগম। কাজের কারণে শ্রমজীবী এ নারীর হাতের আঙুলের রেখা অনেকটাই মিলিয়ে গেছে। চেষ্টা করেও তার ভোট নেওয়া সম্ভব না হওয়ায় ফিরে যান। আবারও দুপুর পৌনে ২টায় আসলে জাতীয় পরিচয়পত্র যাচাই করে তার ভোট নেওয়া হয়।
রহিমা বেগমের মতো আরো অন্তত ২০ জন ভোটারের ক্ষেত্রে এমন হয়েছে বলে জানালেন কেন্দ্রে নিয়োজিত এক পুলিশ সদস্য। এজন্য ভোট গ্রহণে ধীরগতি তৈরি হয়েছে। এ কেন্দ্রে মোট ভোটার এক হাজার ৯৭৭ জন। দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত কাস্ট হয়েছে ৪৫ শতাংশ। তখনও কেন্দ্রের সামনে ৫ শতাধিক ভোটারের ভিড় ছিল।
কর্মরত প্রিজাইডিং অফিসার মজিবুর রহমান জানান, শুরুর দিকে ইভিএম এ ধীরগতি থাকলেও পরে গতি বাড়ে। আঙুলের ছাপের বিষয়টিও ভোট গ্রহণে গতি কমিয়েছিলো।
শায়েস্তাগঞ্জ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে আসা আব্দুল মজিদ নামের এক ভোটার জানান, তিনি পেশায় রেস্টুরেন্ট কর্মী। পেঁয়াজ কাটার কারণে তার হাতের আঙুলের ছাপ উঠে গেছে। সেজন্য ভোট দিতে দেরি হয়েছে তার।
জেলা নির্বাচন কার্যালয়ের কর্মকর্তা মিজানুর রহমান জানান, কিছু ভোটারের আঙুলের ছাপ একবারে হয় না। কারো ক্ষেত্রে যদি ৪ বার চেষ্টায়ও না হয় তাহলে একটু বেশি সময় লাগে।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ শেরগুল আহমেদ
সম্পাদকীয় ও বানিজ্যিক কার্যালয়ঃ দিশারি ২৯ আ/এ (২য় তলা) কালীবাড়ি রোড, সুনামগঞ্জ।
ফোনঃ ০৮৭১-৬২১২৩ মোবাইলঃ 01754887923
ইমেইলঃ sunamganjerdak@gmail.com
ওয়েবসাইটঃ www.sunamganjerdak.com