সিলেট ২০শে মে, ২০২২ ইং | ৬ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪২৯ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ১:৫৩ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ৩, ২০২১
সু:ডাকডেস্ক:
‘ফাহাদ এন্ড মায়শা পরিবহন’ নামের যাত্রীবাহি বাসটি গত ২৬ ডিসেম্বর সিলেট থেকে যাত্রা শুরু করে সুনামগঞ্জের দিরাইয়ের উদ্দেশে। চলতি পথে একে একে সব যাত্রী নেমে যান। দিরাইয়ে যাওয়ার জন্য যাত্রী হিসেবে ছিলেন একজন নারী।
বাসটি দিরাইয়ের পাতারিয়ায় পৌঁছুলে চালক শহিদ মিয়া (২৬) চলন্ত বাসে ওই নারীকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন। নিজেকে রক্ষার জন্য নারী চিৎকার শুরু করেন।চিৎকার শুনে সুজানগর গ্রামের লোকজন বাসটি আটকের চেষ্টা করে। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে চালক শহিদ চলন্ত বাস থেকে নারীকে হত্যার উদ্দেশে ধাক্কা দিয়ে রাস্তায় ফেলে চলে যান। এতে ওই নারী আহত হন। পথচারিরা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান।
চালক শহিদ মিয়াকে শনিবার সুনামগঞ্জ থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। রেববার মালিবাগে সিআইডির প্রধান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়। শহিদ মিয়ার বাবার নাম তৌফিক মিয়া। বাড়ি সিলেটের মোল্লার গাঁও।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, সিআইডির সাঁড়াশি অভিযানে শহিদের ছোটভাই মো. কছির এবং দুলাভাই সুমনকে আটক করা হয় প্রথমে। তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে শহিদকে ধরতে ভোগড়া বাইপাস এবং উত্তরার দিয়াবাড়িতে অভিযান চালানো হয়। এরইমধ্যে তিনি সুনামগঞ্জের দিকে রওনা দেন। শনিবার শহিদকে সুনামগঞ্জ থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাকে ওই নারী শনাক্ত করেছেন। সব যাত্রী যখন একে একে পথের মধ্যে নেমে যান, তখন নারী একা ছিল। বাসচালক স্টিয়ারিং হেলপার বক্করের হাতে ছেড়ে দিয়ে নারীর চুলের মুঠি ধরে বাসের পেছনের দিকে নিয়ে যান শহিদ। সেখানে তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়। চালকের আরেকজন সহকারি শহিদও সেসময় বাসে ছিল। রশিদকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে গত সোমবার। তিনি মঙ্গলবার আদালতে স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ শেরগুল আহমেদ
সম্পাদকীয় ও বানিজ্যিক কার্যালয়ঃ দিশারি ২৯ আ/এ (২য় তলা) কালীবাড়ি রোড, সুনামগঞ্জ।
ফোনঃ ০৮৭১-৬২১২৩ মোবাইলঃ 01754887923
ইমেইলঃ sunamganjerdak@gmail.com
ওয়েবসাইটঃ www.sunamganjerdak.com