সিলেট ১১ই এপ্রিল, ২০২১ ইং | ২৮শে চৈত্র, ১৪২৭ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ১১:২৬ পূর্বাহ্ণ, মার্চ ৯, ২০২১
স্টাফ রিপোর্টার :
সমতলে পানির সুব্যবস্থা নিশ্চিত করা গেলেও সুনামগঞ্জ জেলার তাহিরপুর উপজেলার সীমান্ত এলাকায় পাহাড়ি অঞ্চলে বারেক টিলা, মাঝের টিলা, চানপুর টিলাসহ সীমান্তের বেশ কয়েকটি এলাকায় বিশুদ্ধ পানির সুব্যবস্থা এখনো নিশ্চিত নয়। দেশের বড় বড় শহরগুলোতে যখন পানি সংকট দেখা দেয়। তা নিয়ে গণমাধ্যম সহ সর্ব ক্ষেত্রে হৈচৈ পড়ে যায়। কিন্তুু পাহাড়ি অঞ্চল গুলোতে যারা বসবাস করে দিনের পর দিন পানি সংকটে ভুগছে। তাদের পানি সংকটের কথা সহজে গণমাধ্যমে উঠে আসে না কোন দিন। পাহাড়, নদী, ঝিরি ও বিশাল হাওর জুড়ে সুনামগঞ্জ জেলার তাহিরপুর উপজেলা। প্রাকৃতিক সম্পদ আর সৌন্দর্যে ভরপুর তাহিরপুর উপজেলা হাওর কন্যা বলেও পরিচিত। তাছাড়া পর্যটন স্পষ্ট হিসেবেও সুপরিচিত এ উপজেলা। হাওর আর পাহাড়ের দুর্গম যোগাযোগ ব্যবস্থার কারণে পাহাড়ের জীবন কঠিন। সিমান্ত অঞ্চলের অধিকাংশ এলাকা পাহাড় ও টিলা ভূমি নিয়ে গঠিত। সমতলে যারা বসবাস করে তারা পানি সংকটে সচরাচর তেমন একটা পড়ে না। আবার পাহাড়ে ঝর্ণা, পাহাড়ি নদী এসব উৎস থাকলেও সবসময় সেখানে পর্যাপ্ত ও নিরাপদ পানি পাওয়া যায় না। যার ফলে সীমান্ত এলাকার টিলার উপর বাসবাসরত মানুষ পানি সংকটে আছে।
গ্রীষ্মের শুরুতেই তীব্র পানি সংকট দেখা দেয় তাহিরপুর উপজেলার টিলা গুলোতে। পাহাড়ি গ্রামগুলোর মানুষের জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। দুর্গম পাহাড়ি টিলা গুলোতে বসবাসরত পল্লীগুলোতে নিরাপদ সুপেয় পানির অভাবে বিভিন্ন রকম পানিবাহিত রোগ হচ্ছে। তাছাড়া প্রতিদিনই উপজেলার উত্তর বড়দল ইউনিয়নের অঅবস্থিত সীমান্ত ঘেঁষে পর্যটন স্পষ্ট খ্যাত বারেকটিল(বারিক্কা টিলা), মাঝের টিলা, চানপুর টিলার সৌন্দর্য দেখতে আসা হাজার দেশ-বিদেশের পর্যটকদেরও বিশুদ্ধ পানির অভাবে সীমাহীন দূরভোগ পোহাতে হচ্ছে। এসব টিলায় বসবারত গ্রামগুলোতে তীব্র পানি সংকট দেখা যায়। যার কারণে এসব এলাকায় বসবাসরত বাসিন্দারা হেঁটে দীর্ঘ পথ পারি দিয়ে পানি সংগ্রহ করতে হচ্ছে।
বেশির ভাগ পানিই তারা পাহাড়ি টিলার ঝিরি ঝর্ণা থেকে সংগ্রহ করার পরে পানি নিরাপদ না হওয়ার ফলে জীবন ঝুঁকি নিয়ে পানি সংকট মোকাবিলা করতে বাধ্য সবাই। এমতাবস্থায় বিশুদ্ধ পানির সমস্যার সমাধান জরুরি ভিত্তিতে প্রয়োজন। গ্রীষ্ম কালে কাছের ঝিরি, ঝর্ণার পানি শুকিয়ে যাওয়াতে পানির জন্য তাদের দূরের পথ পারি দিতে হয়।
তাহিরপুর উপজেলার বারেকটিলায় বসবাসরত আনন্দপুর গ্রামের আদিবাসী নেতা ও ট্রাইব্যাল চেয়ারম্যান পুলক আজিম জানায়, তাদের এলাকায় সুপেয় পানির ব্যবস্থা নেই। শুকনো মৌসুমে পাহাড়ি জাদুকাটা নদীর পানির উপর নির্ভর করে গ্রামটির মানুষ পানির চাহিদা পূরণ করে। বর্ষাকালে নদীর পানি ঘোলা হয়ে গেলে তাদের খাবার পানির সংকট বেড়ে যায়। শুধু বারেকটিলা নয়! সীমান্তে বেশ কয়েকটি টিলার উপর কয়েকটি গ্রামের মানুষের এখন পর্যন্ত চলছে “পানির অপর নাম জীবন” এ শব্দের সাথে লড়াই।
তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পদ্মাসন সিংহ বলেন, বারেকটিলায় পাথরের জন্য টিউবওয়েল বসানোর কোন ব্যবস্থা না থাকায় সেখানে টিউবওয়েল বসানো যাচ্ছেনা। তবে বিশুদ্ধ পানি সংকট নিরসনে কিভাবে ব্যবস্থা করা যায় পর্যটন কর্তৃপক্ষ ও উর্ধতন কর্তৃকের সাথে কথা বলে এর সমাধান করা যায় কি না? দেখব।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ শেরগুল আহমেদ
সম্পাদকীয় ও বানিজ্যিক কার্যালয়ঃ দিশারি ২৯ আ/এ (২য় তলা) কালীবাড়ি রোড, সুনামগঞ্জ।
ফোনঃ ০৮৭১-৬২১২৩ মোবাইলঃ 01754887923
ইমেইলঃ sunamganjerdak@gmail.com
ওয়েবসাইটঃ www.sunamganjerdak.com