সিলেট ২৮শে মে, ২০২২ ইং | ১৪ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪২৯ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৪:৫০ অপরাহ্ণ, জুন ১৪, ২০২১
প্রতিযোগিতা দিয়ে বাড়ছে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম। করোনার সংক্রমণের উর্ধগতি কারণে বিধিনিষেধ ১০ দিন বাড়িয়ে ১৬ জুন পর্যন্ত করা হয়েছে। এরই মাঝে বাড়তে শুরু করছে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম। বাজারে পেঁয়াজের যথেষ্ট মজুত থাকার পরও সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিপ্রতি ২০ টাকা বেড়ে যাওয়ায় বাজার পরিস্থিতিতি অস্থিতিশীল ।ভোজ্য তেল খুচরা প্রতি লিটার ১৩৫ বিক্রি হচ্ছে শুধু ভোজ্যতেল নয় বেড়েছে আটা, ময়দা, রসুন ও ডালের দাম। বাজারে সরেজমিন দেখা গেছে, প্রতি কেজি পেঁয়াজ খুচরা বাজারে ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ব্যবসায়ী ও আড়তদারদের দাবি, কয়েক মাস ধরে ভারত থেকে পেঁয়াজ আসা বন্ধ আছে।করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে ভারতের সঙ্গে স্থলসীমান্ত দিয়ে ব্যবসা-বাণিজ্য বন্ধের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। ভারত থেকে পেঁয়াজ না এলে দাম আরও বাড়ার আশঙ্কা আছে। তবে গত শনিবার হিলি বন্দরে পেয়াজের দাম কমলেও কমছেনা দেশের বাজারে পেয়াজের দাম। ব্যাবসায়ীরা বাজেটের অজুহাত দেখিয়ে দাম বেড়েছে বলে দাবী করে আসছেন। এদিকে খুচরা ব্যবসায়ীরা বলছেন, এ বছর দেশে পেঁয়াজের ফলন ভালো হয়েছে। ভারতীয় পেঁয়াজ আসা বন্ধ থাকলেও বাজারে প্রচুর পেঁয়াজ আছে। তারপরও দাম বাড়ানোর পেছনে অসাধু চক্রের কারসাজি দায়ী বলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা মনে করেন। এর আগে ভারত পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দেওয়ায় বাংলাদেশে সংকট তৈরি হয়েছিল। অন্যদিকে বাজারে চিকন, মাঝারি ও মোটা—সব ধরনের চালের দাম এক সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে আরও একদফা দাম বেড়েছে। চিকন চাল এখন ব্যবসায়ীরা বলছেন, নতুন চালের দাম কিছুটা কমলেও পুরোনো চালের দাম বেশি। ধানের দাম বেশি হওয়ায় চালের দাম কমছে না। আটা ও ময়দার দামও গড়ে কেজিতে ২ টাকা বেড়েছে। টিসিবির পণ্য বাজারে পর্যাপ্ত সরবরাহ না থাকায় বাজারেব্যাবস্থা অস্থিতিশীল । ভুক্তভোগরীরা বলছেন সুনামগঞ্জে টিসিবির স্থানীয় কোন ডিলার না থাকাতে আমরা পড়েছি বিপাকে যে দুইজন ডিলার আছে তাঁরা শহরের বাইরের। সপ্তাহে দুইদিন শহরে পণ্য বিক্রি করার কথা থাকলেও তাঁদের পণ্য বিক্রি করতে দেখা যাচ্ছেনা । টিসিবির ডিলাররা সঠিকভাবে পণ্য বিক্রি করলে বাজার পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক থাকতো। অন্যদিকে অস্বাভাবিক বাজার পরিস্থিতি যারা তৈরি করছে, তারা সব সময় ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে যাচ্ছে।ভুক্তভোগীরা বলছেন ব্যবসায়ীরা স্বেচ্ছাচারী কায়দায় দাম বাড়িয়ে থাকেন। বিশেষ করে ভোজ্যতেলের মতো আমদানি পণ্যের দাম দফায় দফায় বাড়লেও দেখার কেউ নেই। একশ্রেণির ব্যবসায়ী আন্তর্জাতিক বাজারে কোনো পণ্যের দাম কেজিতে ২ টাকা বাড়লে দেশীয় বাজারে ৫ টাকা বাড়িয়ে দেন। কয়েকজন প্রভাবশালী ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট করেই কাজটি করেন। এই সিন্ডিকেট ভেঙে দেওয়ার জন্য বাজার তদারক ব্যবস্থা জোরদার করা প্রয়োজন।অন্যদিকে অস্থিতিশীল বাজার নিয়ন্ত্রণে ভোজ্য তেল, ডাল, চিনি, পেয়াজের সরবরাহ ঠিক রাখতে সঠিক তদারকির মাধ্যমে টিসিবির কার্যক্রম গতিশীল করে নিত্যপণ্যের সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ শেরগুল আহমেদ
সম্পাদকীয় ও বানিজ্যিক কার্যালয়ঃ দিশারি ২৯ আ/এ (২য় তলা) কালীবাড়ি রোড, সুনামগঞ্জ।
ফোনঃ ০৮৭১-৬২১২৩ মোবাইলঃ 01754887923
ইমেইলঃ sunamganjerdak@gmail.com
ওয়েবসাইটঃ www.sunamganjerdak.com