সিলেট ২১শে মে, ২০২২ ইং | ৭ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪২৯ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৩:৫৭ অপরাহ্ণ, জুলাই ১০, ২০২১
মিজানুর রহমান মিজান:
কোরবানির ঈদ দুয়ারে কড়া নাড়ছে। এই সময় মহাব্যস্ত থাকার কথা কোরবানির পশু খামারি ও গৃহস্থদের। করোনাভাইরাসের কারণে চলমান লকডাউন অব্যাহত থাকায় পশুর হাট বন্ধ থাকায় এখন পর্যন্ত কোরবানির পশু বিক্রি করতে পারেনি খামারি ও মালিকরা। পশু বিক্রি অনিশ্চিত হওয়ায় চরম বিপাকে খামার মালিকরা।
জেলা প্রাণী সম্পদ অফিস সূত্র জানায়, সুনামগঞ্জে বাণিজ্যিক ও ক্ষুদ্র প্রান্তিক খামারে পশুর সংখ্যা কোরবানির পশুর লক্ষমাত্রার চেয়ে বেশী রয়েছে। জেলায় কোরবানির ইদকে সামনে রেখে লাভবান হওয়ার আশায় বাণিজ্যিক খামারিরা বিশেষ করে দেশি-বিদেশি গরু পালন করেছেন। স্থাপনা নির্মাণ, গো খাদ্য, পরিচর্যা, কর্মচারীদের বেতন, চিকিৎসাসহ নানা খাতে অর্থ ব্যয় করে মোটা তাজা করা হয় গরুগুলোকে। ব্যক্তিগত অর্থের বাইরে এ জন্য ব্যাংক লোন, সুদের ওপর ধারদেনাও করেন তারা। গত বছর সীমিতভাবে পশুর হাট চালু হওয়ায় লোকসান তেমন গুনতে হয়নি। কিন্তু এবার বিধিনিষেধের কড়াকড়িতে বেচা কেনা তেমন নেই বললেই চলে। যানবাহন বন্ধ থাকায় সিলেট,বিশ্বনাথ,জগন্নাথপুর,দিরাই, ধর্মপাশাসহ বড় বড় শহর থেকে গরু কিনতে আসছেন না ক্রেতারা। তাই বিপাকে খামারিরা। তারা চান স্বাস্থবিধি মেনে হাট বাজার খুলে দেওয়া হোক।
জেলার পৌর শহরের জলিলপুর এলাকার গরু খামারি দিলু মিয়া জানান, সরকারি বিধিনিষেধের আওতায় থেকেই গরু বিক্রি করতে চাই। এক বছরের প্রাণান্তকর চেষ্টাতে এই গরুগুলোকে ক্রেতাদের সামনে তুলে ধরার উপযোগী করা হয়েছে। কিন্তু হাট বন্ধ, তাই লোকসানের আশংকায় রয়েছি। অনলাইনে ক্রেতাদের তেমন আগ্রহ নেই বলেই মনে হচ্ছে। এখন আমরা সরকারি সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় আছি।
সুনামগঞ্জ জেলার ১১টি উপজেলা ও ৪ পৌরসভায় শতাধিক খামার রয়েছে। বিশেষ করে সদর, ছাতক, বিশ্বম্ভরপুর উপজেলায় প্রান্তিক খামার ও ব্যক্তিগত পশু পালনের সংখ্যা অনেক। প্রতি বছর কোরবানির সময় উপজেলা হতে কোরবানির পশু দেশের বিভিন্ন জেলায় রপ্তানি করা হত। আসন্ন কোরবানির ঈদে তা করতে না পারায় পশু বিক্রি অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছে। স্বল্পপুঁজির গরুর খামারিরা সারা বছর এই সময়ের আয় দিয়েই পাড়ি দেন।
উপজেলার খামারীরা জানায়, সদর উপজেলায় বিক্রয়ের জন্য গরু, ছাগল, ভেড়া ও মহিষ মিলে কমপক্ষে ২০ হাজার কোরবানির পশু রয়েছে। যার আনুমানিক মূল্য ২০ কোটি টাকার উপরে। এর বেশির ভাগই গ্রামাঞ্চলের। এ ছাড়া বিভিন্ন বেসরকারি সংগঠনের মাধ্যমে গ্রামে গ্রামে নারী উদ্যোক্তাদের খামারেও রয়েছে অসংখ্য গরু ছাগল।
বড়কাপন গ্রামের প্রান্তিক খামারি হবিবুর রহমান জানান, তিনি প্রতি বছর কোরবানির ঈদে কমপক্ষে ১০টি গরু বিক্রি করেন তারা। বর্তমানে তার খামারে ৬টি গরু রয়েছে। আসন্ন কোরবানির ঈদে গরু বিক্রি করতে না পারলে তার অনেক লোকসান হবে। তাছাড়া ওইসব গরু আর খামারে রাখা যাবে না। শেষ পর্যন্ত অনেক ক্ষতি করে বিক্রি করতে হবে। পরিশেষে সরকারী সিদ্ধান্তের দিকে চেয়ে আছেন খামারীরা।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ শেরগুল আহমেদ
সম্পাদকীয় ও বানিজ্যিক কার্যালয়ঃ দিশারি ২৯ আ/এ (২য় তলা) কালীবাড়ি রোড, সুনামগঞ্জ।
ফোনঃ ০৮৭১-৬২১২৩ মোবাইলঃ 01754887923
ইমেইলঃ sunamganjerdak@gmail.com
ওয়েবসাইটঃ www.sunamganjerdak.com